রাজ্য রাজনীতির শীঘ্রই পট পরিবর্তন : মহারাজা এবং বি জে পি কাছাকাছি

হাবেলী প্রতিবেদন। আগরতলা।৬ আগষ্ট।।

রাজ্য রাজনীতির শীঘ্রই পট পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। তিপরা মথা এবং ভারতীয় জনতা পার্টি একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে আগ্ৰহী । বিশেষ সূত্রে এ সংবাদ জানা গেছে।

ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের পরিচালনা দায়িত্ব এখন তিপরা মথা দল। বিরোধী দলের দায়িত্বে বি জে পি। বিরোধী দলের এম ডি সিগন এ ডি সি কাজ কর্ম নিয়ে এখন পর্যন্ত শাসকদল মথা কে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নি। বিরোধী দল মথাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে সংবাদ।

তিন টি জনজাতি আঞ্চলিক দলের সমন্নয়ে তিপরা মথা দল গঠন করেন মহারাজা প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেবর্বমা। এ ডি সির নির্বাচনে লড়াই করে প্রথমবার মথা ক্ষমতায় আসে।পাহাড় মানে ২০টি উপজাতি সংরক্ষিত আসন।এই আসনগুলোতে যেদল ভালো ফল করবে। সেই দল আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবে। এই আসনগুলোতে একক শক্তি ধরে রাখতে মরিয়া মথা।আর এই কাজকে ভারতীয় জনতা পার্টি পরোক্ষভাবে মদত জুগিয়ে যাচ্ছে।

তিপরা মথা কে হাতে আনার লক্ষ্যে বি জে পি রাজ্যের পলিসি পরিবর্তন করেছে বলে সংবাদ।প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব আমলে ২০১৮ সালের জোট সাথী আই পি এফ টি কে কোন ঠাসা করে সাইনবোর্ড সর্বস্ব দলে পরিনত করেছে।

এখন পাহাড়ে এন সি দেবর্বমা নেতৃত্বে আই পি এফ টি সাংগঠনিক শক্তি জিরোতে এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচন তো এখনো অনেক দূরে। আসন্ন ভিলেজ কমিটি নির্বাচনে আই পি এফ টি ৫০টি ভিলেজ কমিটি এলাকায় একক ভাবে লড়ার মত প্রয়োজনীয় প্রার্থী দাঁড় করাতে পারবে না সংবাদ।এন সি দেবর্বমা শারীরিক ভাবে দুর্বল। চলাফেরা করতে পারেন না।
অন্যদিকে মেবার কুমার জমাতিয়া এখন ঘরকা না ঘাটকা । গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে শ্রীজমাতিয়া রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রায় শেষ । এই অবস্থায় আই পি এফ টি বি জে পি কে ছেড়ে বেরিয়ে আসবে না। আবার ২০১৮ সালের চেয়ে কম আসন পেয়ে ও জোটে থাকবে।

ভারতীয় জনতা পার্টি উত্তর পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক দল গুলোর সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে আগ্ৰহী। বি জে পি ক্ষমতায় থাকলে চলে।অন্যদের ক্ষমতার কেন্দ্রে রেখে দিতে বেশি পছন্দ করেন। আঞ্চলিক দল গুলো রাজ্য গুলোর শাসন ক্ষমতায় থাকে। তাহলে রাজ্যগুলোতে শান্তি বজায় থাকবে।শান্তি বজায় থাকে। তাহলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলোতে তথা কথিত উগ্ৰপন্থী নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারবে না।আর এই সুযোগে ভারত সরকার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেকে প্রসারিত করতে পারবে। দীর্ঘ ৭০ বছর যাবৎ বিভিন্ন উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলোতে তথা কথিত উগ্ৰপন্থী কার্যকলাপ অব্যাহত ছিল। কেন্দ্রের ক্ষমতায় বি জে পি আসার পর থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যের ভূমিপুত্র গন বিভিন্ন দাবিকে সামনে রেখে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ করতে পারে নি। ত্রিপুরা তে এখন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নেই।এই শান্তি বজায় রেখে ঊন্নয়ন গতি অব্যাহত রাখতে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে তিপরা মথা দলকে কাছে নিতে বিভিন্ন পন্থা প্রয়োগ করছে।
আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তিপরা মথা এবং বি জে পি একাংশ জনপ্রতিনিধি গোপনীয়তা বজায় রেখে মিলিত হচ্ছেন বলে সংবাদ।

বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কাজে মথার অনেক নেতাই খুশি।আশা প্রকাশ করে অনেকে চাইছেন শ্রীসাহার নেতৃত্বে মথার জোট গঠনে আগ্ৰহী।যার ফলে এখন মথা এবং বি জে পি কাছাকাছি। এখন উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ নেই। বিপ্লব আমলে উভয় দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে থাকত বলে অভিযোগ।

ভিলেজ কমিটি নির্বাচনের আগেই মথা এবং বি জে পি কাছাকাছি চলে আসার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে।
কোন কারনে চলতি মাসের আলোচনা ফলপ্রসূ না হয়।
সেই ক্ষেত্রে বি জে পি অন্য ইসুকে সামনে শেষ খেলা খেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরবর্তী নির্বাচনে যেকোন মূল্যে রাজ্য বিজেপির চাই ই।

কংগ্রেস দল ও মথাকে হাতছাড়া করতে রাজি নয়।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে রাজমাতা ভারতীয় জনতা পার্টির সাথে আঁতাত করতে আগ্ৰহী নয়। এখন দেখার মহারাজা রাজমাতার কথা অমান্য করে চলতে পারবেন।
কংগ্রেস ত্যাগী একটি গোষ্ঠী মহারাজা কে বগলদাবা করে রাখতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । মহারাজা বিধানসভা নির্বাচনে এককভাবে লড়াই করেন ।

ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের পরিচালনার দায়িত্বে এখন তিপরা মথা দল।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।