হাবেলী প্রতিবেদন। আগরতলা।১ রা আগস্ট।।
রাজ্যের পুরানো রাজভবন তথা পুস্পবন্ত প্রাসাদে জাতীয় পর্যায়ের জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য ৪০কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একথা জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়।
তিনি আরো জানিয়েছেন জাদুঘরের এক পাশে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য ১৯১৭ সালে মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মানিক্য বাহাদুর এটি তৈরি করেছেন। তিনি ছিলেন একজন চিত্রশিল্পী। এই বাড়িতে স্টুডিও র কাজকর্ম করতেন।মাণিক্য পরিবার এই বাড়িতে অতিথিশালায় ব্যবহার করতেন।
রাজ পরিবারের সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভালো সম্পর্ক ছিল।১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ বার রাজ্যে আসনে। তখন তিনি এই বাড়িতে ছিলেন।।রাজ্যে তিনি মোট সাত বার এসেছেন। প্রাসাদের সামনের দিকে নিউ ক্লাসিক্যাল প্রভাব সাথে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার প্রভাব ও রয়েছে।
তিনতলা বিশিষ্ট বাড়িতে।একতলায় রয়েছে ১হাজার ১১৪ বর্গ মিটার জায়গা।
দ্বিতলে ১৫৯.২৫ বর্গ মিটার জায়গা রয়েছে।১৯৪৯ সালে ত্রিপুরা যখন ভারতের সাথে যুক্ত হয় । তখন ৪.৩১ একর জমির উপর তৈরি বাড়ি টি চীফ কমিশন বাংলো হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পরে রাজ্য সরকার এটিকে রাজ্যপাল ভবনে হিসেবে ব্যাবহার করতে থাকে।
২০১৮ সালে বর্তমান মহাকরণের পাশে নতুন রাজ্য পাল ভবন তৈরি করা হয়। নবনির্মিত ভবনে রাজ্য পাল এখন থাকেন ।এখান থেকে রাজ্যপাল চলে যাবার পর বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
শ্রীসিংহরায় জানিয়েছেন জাদুঘরের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরির্দশন সংক্রান্ত বিভিন্ন নথীপত্রসহ তাঁর ব্যবহ্রত সামগ্ৰী জনসাধারণের জন্য প্রদর্শন করে রাখা হবে।