হাবেলী প্রতিবেদন। আগরতলা।২৭ জুলাই।।
জলের অভাবে জমি চাষ করা যাচ্ছে না। বীজতলায় ধানের চারা বয়স বাড়ছে। এভাবে বীজতলায় ধানের চারা থেকে যায়।তবে এই চারা রোপণ করলে ধানের ফলন ভালো হবে না।চারা রোপণ নিয়ে চাষীদের দুশ্চিন্তায় ভুগতে হচ্ছে।
এখন বর্ষাকাল। শ্রাবণ মাসে প্রবল বৃষ্টি হয়।এই বছর শ্রাবণ মাস চলে যাচ্ছে। তারপর ও বৃষ্টি হচ্ছে না।
অন্যান্য বছর এই সময়ে প্রবল বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলে জমিতে জল জমে। তখন জমিতে জলের অভাব হয়না। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের চাষীরা আমন ধানের চারা রোপণ করার কাজ কর্ম শেষ করতে পারে।
এখন শ্রাবণ মাস ।সর্বত্র মনসামঙ্গলের পূথি পড়া হয়। প্রতিদিন বিকেল থেকে পূর্তি পড়ার ধূম পড়ে যায়। এই মনসামঙ্গলের গানের আসরে গ্ৰামীন এলাকার নারী পূরুষ আবাল বৃদ্ধ সকলেই অংশ গ্ৰহন করে।আনন্দঘন এক পরিবেশের মধ্য দিয়ে তাদের জীবন অতিবাহিত হয়।
কিন্তু এই বছর এখন পর্যন্ত মোষল ধারে বৃষ্টি হয় নি।মোষল ধারে বৃষ্টি না হওয়ায় চাষের জমিতে জল অভাব দেখা দিয়েছে । জমিতে জল না জমে । তাহলে জমি টাকটর মেশিন দিয়ে জমি চাষ করা যায় না।
হালের গরু দিয়ে এখন জমি করা হয় না।হয় তো কোথাও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা হয়।তার পরিমাণ খুবই কম। লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করতে বেশি জলের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জমি চাষ করতে জলের দরকার পড়ে।পযাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এখন চাষী আমন ধানের বীজ তলা থেকে মূল জমিতে রোপণ করতে পারছে না।

জলসেচের অভাবে জমি চাষ করতে না পেরে চাষীরা হতাশাগ্রস্থ। জলের মেশিন অধিকাংশ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। জলের মেশিন সাড়াই করে দেয়া র জন্য চাষীরা পঞ্চায়েত চেয়ারম্যান এবং জলসেচ দপ্তরে প্রতিদিন হানা দিতেছে। কিন্তু মেশিন আর ঠিক হয় না। ক্ষুব্ধ কৃষক গন সম্প্রতি তেলিয়ামুড়াও খোয়াই সড়ক টাকটর মেশিন দিয়ে অবরোধ করেছিল। দীর্ঘদিন জলের মেশিন মেরামত করে দিতে দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রশাসন কোন উদ্যোগ না নেয়াতে ক্ষুব্ধ কৃষক গন সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয় বলে জানা গেছে।
এখন এক খানি জমি চাষ করতে প্রায় ১১হাজার টাকা খরচ হয়। জমিতে কাজ করার মতো শ্রমিক পাওয়া যায় না। শ্রমিক সংকটে চাষীদের সমস্যায় পড়তে হয়। পাওয়া যায় না সময় রাসায়নিক সার। খোলা বাজার থেকে চড়া দামে সার কিনতে হয়।
জলের অভাবে জমি সময় মত চাষ করা না যায়। অসময়ে ধান রোপণ করে ভালো ফলন পাওয়া যায় না।ফলে চাষীদের ধান চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।