হাবেলী প্রতিবেদন। আগরতলা।।২৪ জুলাই।
শাসকদল বি জে পি কে ক্ষমতা চ্যুত করতে কংগ্রেস এবং সি পি আই এম জোট গঠন নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে। রাজ্য রাজনীতি তে এখন ও আলোচনার কেন্দ্রে তিপরা মথা দল। পাহাড়ের ২০টির আসনে ফ্যাক্টর।
কিন্তু সমতলে ৪০ টি আসনে শাসকদলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস এবং সি পি আই এম একক ভাবে কোন বিধানসভা আসনে ফ্যাক্টর নয়। কংগ্রেস সি পি আই এম জোট করে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে। তাহলে শাসকদল বি জে পি কে ক্ষমতায় ফিরে আসতে বেগ পেতে হবে।
বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল ধরে কংগ্রেস এবং সি পি আই এমের পর্যালোচনা করলে ভূল হবে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং সি পি আই এম জোট গঠন হলে নীচু তলার কর্মী সমর্থক মেনে নিবে না। বর্তমান শাসক দলের কিছু কাজকর্মের জন্য বি জে পি কর্মী সমর্থকদের একাংশ প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। ক্ষুব্ধ বি জে পি প্রকৃত সমর্থকগন ভূলেও পূনরায় সি পি আই এম তথা বামফ্রন্ট কে ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দিবে। ২০১৮ সালের আগে রাজ্যে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট দলেই ছিল। তখন ডানপন্থী সর্মথকগন দিনের পর দিন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে নির্যাতন , নিপীড়ন, অত্যাচার শিকার হয়েছিল। তথা কথিত উগ্ৰপন্থীদের হাতে ডানপন্থী সর্মথকদের পরিবারের প্রিয় মানুষ কে অপহৃত হতে হয়েছে।বাড়ির সব কিছু বিক্রী করে অপহরণকারীদের হাতে সর্বশেষ সম্বল দিয়েছে। তারপর ও বহু কংগ্রেস পরিবার প্রিয়জনকে ফিরে পায় নি। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জাতি উপজাতি মিশ্র বসতি এলাকায় জাতিদাঙ্গার পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। রাতের আঁধারে বা প্রকাশ্য দিবালোকে দুস্কৃতিকারীদের অগ্নিসংযোগের কারণে অনুপজাতি পরিবারের বাড়িঘর পুড়িয়ে ছারখার হয়ে যে ত। পাহাড়ি এলাকায় মিশ্র বসতি গড়ে জাতি উপজাতি জনগন একসাথে বসতি গড়ে ছিল।একে অপরের সুখে দুঃখে একজনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। কি ন্ত অবিশ্বাস বাতা বরণ সৃষ্টি হবার পর জাতি উপজাতি মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। অশান্তি সৃষ্টি হবার পর অনুপজাতি অংশের জনগন পাহাড় ছেড়ে সমতলে এসে বসতি গড়ে তুলতে বাধ্য হয়েছে।
২০১৮ সালের আগের ফেলে আসা দিন গুলোর স্মৃতি দৃশ্য যাদের মনে ভেসে আসবে। সেই ব্যাক্তি বর্তমান শাসক দলের কাজে ক্ষুব্ধ হলেও বামফ্রন্ট কে ভোট দিতে রাজি হবে না।
কংগ্রেস দল এখন বামফ্রন্টের সাথে আঁতাত গড়ে তোলে । সেক্ষেত্রে কংগ্রেস অনেক সমর্থকদের ভোট পাবে না বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
১৯৮৮ সালে কংগ্রেস জোট সরকার আমলে বামফ্রন্ট কর্মী সমর্থক নির্যাতন, অত্যাচার শিকার হয়েছিল। সেই সকল বামপন্থী কর্মী সমর্থকদের ভোট কংগ্রেস দল পাবে না বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
কংগ্রেস বামফ্রন্ট জোট হলে যেমন শাসকদল বি জে পি চ্যালেন্স মুখে পড়বে। তেমনি আবার জোট না হলে শাসকদল সমতলে অনায়াসে ভোটে জিতে আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে । এখন দেখার আদৌ আঁতাত গড়ে তোলা হবে কি ?