শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষকদের দাবি তে রাজ্যব্যাপী ছাত্র ছাত্রীদের তীব্র আন্দোলন : প্রশাসন চুপ

হাবেলী প্রতিবেদন। আগরতলা। ২১ জুলাই।

রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে দীর্ঘদিন তীব্র শিক্ষক সংকট চলছে। শিক্ষকের অভাবে সঠিক ভাবে স্কুলে পড়াশোনা হয় না। ফলে পড়ুয়াগন পড়ছে চরম বিপাকে। শিক্ষকের দাবিতে রাজ্যের কোথাও না কোথাও পথে নেমে আন্দোলন সামিল হচ্ছে ছাত্ররা। পিছিয়ে নেই অভিভাবকগন ও। অভিভাবক গন ও শিক্ষকের সংকট দূর করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। ছাত্র-ছাত্রীগন ন্যায্য দাবি করতে গিয়ে শাসকদলের গুন্ডাবাহিনীর রক্ত চক্ষুর নেক নজরে পড়েছে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্য সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে আন্দোলন শুরুতে ই আয়ত্তে নিয়ে আসাই মঙ্গলদায়ক হবে।

রাজ্যের স্কুল শিক্ষকের তীব্র সংকট চলছে।শিক্ষক সংকট নিরসনের কোন উদ্যোগ নেই রাজ্য সরকারের। প্রাথমিক স্কুলে দুই বা তিন জন শিক্ষক রয়েছেন।প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী, নবম -দশম শ্রেনী স্কুলে তীব্র শিক্ষক সংকট চলছে।রাজ্য সরকার বিষয়টি কে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। স্কুলে পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীগন ভালো জানেন।স্কুলে পযাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা আছে কি নেই।

শিক্ষকের অভাবে স্কুলে ছেলে মেয়েগন পড়াশোনা করতে পারে না। স্কুলে আসার পর পেয়ার হয়।রোল কল হল। কিছু সময়

ছেলে মেয়ে গন নিজেদের মত করে দৌড় ঝাঁপ করে। তারপর মিড ডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যায়।

অধিকাংশ স্কুল কমিটি ও ভালো করে জানেন কি ধরনের পড়াশোনা করানো হয়। কমিটি গুলো শাসকদলের পক্ষভূক্ত।

এছাড়া শিক্ষকদের প্রায় দিনেই স্কুল পরিদর্শক, মহকুমা, জেলা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের মিটিং এ উপস্থিত থাকতে হয়। মিটিং এ কোন কারনে উপস্থিত থাকতে না পারেন। তাহলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। এখন প্রতিটি প্রধান শিক্ষকের সাথে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইল সংযোগ করে রাখা হয়েছে। এমনকি সরকারি ছুটির দিনেও শিক্ষকে সরকারি নির্দেশ পালন করতে হয়।

সাব্রুম থেকে ধর্মনগর পর্যন্ত সর্বত্র স্কুল ছাত্র ছাত্রীগন শিক্ষকের দাবিতে পথ অবরোধ করছে। এই অবরোধ কে শাসক দলের একাংশ তথা কথিত নেতা জোর করে অবরোধকারীদের তুলতে বাধ্য করছে। এছাড়া কোথাও কোথাও অবরোধ কারীছাত্রছাত্রীদের হত্যা করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।গিলাতলীর এক অভিভাবক রাজ্যবাসীর কাছে কড়জোড়ে আবেদন করেন শাসকদলের তথাকথিত নেতা দের হাত থেকে স্কুল ছাত্র কে বাঁচাতে।

শহর এলাকার স্কুলে পযাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে। শহরতলী এবং গ্ৰামীন এলাকা য় তীব্র শিক্ষক সংকট চলছে। সেই রকম প্রাইভেট শিক্ষকের প্রচন্ড সংকট। এই অবস্থায় একজন গরিব মধ্যভিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়ে কিভাবে পড়াশোনা করবে।

রাজ্যে ১০৩২৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকা চাকরি চ্যুত হয়ে যাবার পর শিক্ষক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।শুন্য স্থানে প্রযাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করে নি বর্তমান রাজ্য সরকার। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই শিক্ষক সংকট দূর হবে না বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।

অন্যদিকে রাজ্যে টেট উত্তীর্ণ বহু ছেলে মেয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ করার দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করছে। ছুটে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা দপ্তরে কতৃপক্ষের কাছে। কিন্তু কেউ তাদের কে শিক্ষক পদে নিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি পযন্ত দিয়ে শান্তনা করতে রাজি নয়।

বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী অবগত আছেন ১৯৮৮-৯৩ পযন্ত সময়ের মধ্যে ব‌ই আন্দোলন করতে গিয়ে সেদিন উদয়পুর একজন ছাত্র শহিদ হয়েছিল।

রাজ্যের স্কুলে শিক্ষক সংকট দূরীকরনের দাবীতে আন্দোলন সংগঠিত করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে সামনে রেখে বিরোধী দল গুলো আন্দোলন সংগঠিত করেন ।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।