হাবেলী প্রতিবেদন। আগরতলা। ২২ জুলাই।
আগামী নভেম্বরে ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ পরিচালিত ভিলেজ কমিটি ( পঞ্চায়েত) নির্বাচন সম্পন্ন করতে আগরতলা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক রাজ্য নির্বাচন কমিশন কে এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন পর্বের কাজ শেষ করতেই হবে।
২০২০সালের মার্চে নির্বাচিত ভিলেজ কমিটি গুলো মেয়াদ কাল শেষ হয়েছিল। সেই সময় এ ডি সি তে পরিচালকের দায়িত্বে প্রশাসক বসিয়ে ছিল রাজ্য সরকার।২০২২ সালে এ ডি সিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করে। সেই নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল বি জে পি ক্ষমতায় আসতে পারে নি।
জনজাতি সমাজ তিপরা মথা নামে একটি আঞ্চলিক দল কে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে।তিপরা মথা দল কর্ণধার হলেন প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেবর্বমা । তিনি হলেন ত্রিপুরার রাজবংশের বংশধর।
তিনি রাজ্য কংগ্রেস দল করতেন। কংগ্রেস দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে তিনি এই দল ছেড়ে দেন। কংগ্রেস দল ত্যাগ করে তিনি রাজ্যে বসবাস কারি দীর্ঘদিন যাবৎ বঞ্চিত স্বজাতিদের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে শুরু করেন।
এ ডি সি তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার মুখে তিনি গ্ৰেটার তিপরাল্যান্ড গঠন করার দাবি তোলেন।এই দাবি তোলার সাথে সাথে জনজাতি অংশের মানুষ তাকে বিপুল ভাবে সর্মথন করেন। জনগনের সমর্থন নিয়ে প্রদ্যুৎবাবু এ ডি সি নির্বাচনে প্রথমবার লড়াইতে নেমেছিল। মাত্র দুই মাসের একটি আঞ্চলিক দলের কাছে সর্বভারতীয় দল বি জে পি রাজ্য সরকারে থাকার পর ও ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়ে যায়। জনজাতি অংশের জনগন বি জে পি কে গ্ৰহন করে নি। কিন্তু রাজ্যের ক্ষমতায় প্রথমবার বি জে পি বসেছে।২০১৮সালে জনগনের বিপুল সমর্থন নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় বসিয়ে ছিল।
বি জে পি এবং আই পি এফ টি জোট সরকার তিন বছরের মধ্যে জনগনের মন থেকে মুছে যেতে থাকে। জোট সরকার জনগণের কল্যাণে বহু ভালো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে নি। প্রচার সর্বস্ব কাজ করছে।সাথে নির্বাচনের সময় দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে নি।
পাশাপাশি উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকাদিন অঞ্চল থেকে আই পি এফ টি বিধানসভা নির্বাচনে বি জে পি সমর্থনে জয়লাভ করেছিল। নির্বাচনে জয়ী হবার পর তিপরাল্যান্ডের কথা ভুলে যায়।তাতে পাহাড়ের জনগন আই পি এফ টি কাজে আঘাত পেয়েছে। আঘাতের পর এ ডি সি নির্বাচনে যখন তিপরা মথা দল মহারাজা র নেতৃত্বে লড়াইয়ে নেমেছে। তখনই আই পি এফ টি র উপর রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে । একটি আসনে ও আই পি এফ টি জয়ী হতে পারে নি। সেই সাথে রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। বামফ্রন্ট ও কোন খাতা খুলতে পারে নি। রাজ্যের জন্ম লগ্ন থেকে কংগ্রেস বহু বছর রাজ্য শাসন করেছিল। কংগ্রেস প্রার্থী গনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
এই অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে তিপরা মথা দলেই ভিলেজ কমিটি নির্বাচনে ভালো ফল করবে। এই নিয়ে কোন মন্তব্য করে লাভ নেই।মথা ৮০শতাংশ ভিলেজ কমিটি আসন মথা নিজের দিকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়। তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মথা বড় ফ্যাকটর।২০টি উপজাতি আসনের মধ্যে যে বেশি আসন পাবে। সেই দলেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পর সরকার গঠন করতে বিশেষ ভূমিকা গ্ৰহন করতে পারে । ভিলেজ কমিটি নির্বাচন ফলের প্রভাব রাজনীতি তে পড়বে।কেন না আগামী ফেব্রুয়ারি মার্চ এ বিধানসভা নির্বাচন বি জে পি একক ভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠ হবে না।আর পাহাড়ে ভা লো ফল করতে সক্ষম হয় । তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে ও ভালো ফল করতে পারে রাজ্য বি জে পি। ভিলেজ কমিটি নির্বাচন পর দল বদলের খেলা শুরু হবে। ভিলেজ কমিটি নির্বাচন রেস রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে উপর পড়বে।